নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিসগুলোতে যখন অবাধ ও অনিয়ন্ত্রিত অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতা চলছিল তখনই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতন হওয়ার পর অপরাধ নির্মূল ও অপরাধী কে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দেশকে সংস্কার করার জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস কে বেছে নেন। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস দায়িত্ব গ্রহণ করার পর উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম আর অপরাধে জড়িত থাকা সকল সরকারি কর্মকর্তাদের অপসারণ সহ তাদের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর আইনি পদক্ষেপ।

সারা দেশব্যাপী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে সংস্কার, অনেক সরকারি কর্মকর্তা অনিয়ম আর অপরাধের কাজে জড়িত থাকার কারণে অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, কেউবা আবার আত্মগোপনেও রয়েছেন, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন অপরাধ অনিয়মে জড়িত থাকার পরও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে অপরাধমূলক কার্যক্রম সচল রেখেছেন,আর সরকারি কর্মকর্তারাও তাদের অনিয়ম অপরাধ প্রকাশিত হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

তার ব্যতিক্রম ঘটেনি গিরিজা কিশোর (জি,কে) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মোড়লের বেলায়ও, মাত্র কয়েকদিন আগে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় উঠে আসে গিরিজা কিশোর (জি,কে) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মোড়লের দুর্নীতি আর অনিয়মের চিত্র, যেসব পত্র-পত্রিকায় নিউজগুলো প্রকাশিত হয়েছে সে বিষয়ে অবগত রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেএম শাখা ও গিরিজা কিশোর (জি,কে) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির পদে থাকা নাঈমা খান, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আল মামুন তালুকদার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গাজীপুর মোঃ সোহেল রানা, গাজীপুর ডিসি নাফিসা আরেফিন, গাজীপুরের সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়টি অবগত থাকলেও আজও পর্যন্ত গঠন করা হয়নি তার এই অগাধ অপরাধ, অনিয়ম, দুর্নীতির সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি।

পত্র পত্রিকাতে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে দৌড় যাফ শুরু করেছেন আবুল হোসেন মোড়ল বিষয়টি বরাবরের মতই ধামাচাপা দেয়ার জন্য। কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, সত্য কোনদিন ধামাচাপা থাকে না, একদিন না একদিন তা কোন না কোন ভাবে বেরিয়ে আসবেই, সমাজে প্রবাদ বাক্য রয়েছে চোরের মায়ের বড় গলা, একেতো চুরি তার উপরে সিনা জুড়ি, নিজের অপরাধ ঢাকতে চোখ রাঙ্গাচ্ছেন সহকর্মীদের উপর।

তার এসব অপরাধ অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জোড় দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল, নয়তো প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনের অনুসারীদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলাসহ সহকারি শিক্ষকদের উপর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আচ পাওয়া যাচ্ছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনিয়ম ও দুর্নীতি মুক্ত রাখার জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং তার এসব অপরাধ দুর্নীতি দমনে দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ চায় স্থানীয়রা।

এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় নিয়ে কথা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডঃ খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এর সাথে তিনি বলেন পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজের কপি আমরা হাতে পেয়েছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।