বাংলাদেশ একটি স্বাধীন স্বার্বভৌমত্ব দেশ। যেখানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে দেশ স্বাধীন হলেও দেশে থেকে যায় দূর্নীতির ছোঁয়া। গুটি কিছু মানুষের জন্য দেশ স্বাধীন হলেও সাধারণ জনগণ নামে স্বাধীন, স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায়নি। স্বাধীনতা সাধারণ মানুষের কাছে আজীবন সোনার হরিণ হয়েই রয়ে গেছে।
বাংলাদেশে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেছেন অথচ আঙ্গুল ফুঁটে কলাগাছ হয়নি এমন নেতা সচরাচর দেখা যায়না। স্বাধীনভাবে মনের ভাব প্রকাশ করলেই গুম, খুন হতে হয়। ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারলে তাকে আর পায় কে? কোটি কোটি টাকার মালিক হতে চাইলে রাজনৈতিক নেতা হওয়ার কোন বিকল্প নেই। ক্ষমতার চেয়ারের এমন চমৎকার যে বয়সের ছাপ পর্যন্ত পড়েনা।
সাধারণ জনগণ ফুটবলের মতো যে ক্ষমতায় আসবে জনগণকে নিয়ে খেলবে। এমপি, মন্ত্রী হতে পারলেতো আর কথাই নেই বিশ্বের উন্নত দেশে গাড়ি, বাড়ি করতে সময় লাগেনা। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এতো ভালো হলে কেন নেতারা চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুর যায়? জনগণকে টুপি পড়াতে খুবই উস্তাদ বিভিন্ন দলের নেতারা। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির অভাব নেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কাজ করেন ঘোড়ার ডিম।
জীবনে কিছু করতে গেলে অবশ্যই রাজনীতি করা উচিৎ। মামা, খালু না থাকলে বাংলাদেশে সরকারি চাকুরি, ক্রিকেটার বা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখাও যায়না। ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামীলীগ। কিছু কিছু ছাত্র নেতা গত ঈদেও যারা লোকাল গাড়িতে বাড়ি যেতো এখন তারা বেশকিছু গাড়িবহর নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যায়। এতো টাকা আসে কোথা থেকে আসে? এসব টাকার উৎস কি? দেশের মানুষ যেখানে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে পারেনা সেখানে ছাত্রনেতাদের আয়ের উৎস কি? দূর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে দেশের মানুষ পেটের ক্ষুধায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পরবে।
দ্রব্যমূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে, মধ্যবীত্ত পরিবারগুলো আজ অসহায় দিন কাটাচ্ছে। অথচ দূর্নীতিবাজরা সুইচ ব্যাংকে টাকা জমাচ্ছে। দেশে কেউ ক্ষমতায় এসে জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবে এমন নেতা কেন নেই? ক্ষমতার চেয়ারে বসলেই আঙ্গুল ফুঁলে কলাগাছ, এযেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। জবাবদিহিতার অভাবে আজ এই পরিস্থিতি। রাজনীতিটাকে কঠিন জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারলে দূর্নীতিবাজরা রাজনীতি থেকে সরে যাবে। যোগ্য নেত্রীত্বে দেশ পরিচালনার মাধ্যমে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব।
Leave a Reply