1. admin@dainikvoreralobd.com : voreralobd :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাজীপুরে বলাৎকারের অভিযোগ এনে সকালে ইমামকে গণপিটুনি, রাতেই কারাগারে মৃত্যু জাল সনদে চাকরি: কাপাসিয়ায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের এমপিও স্থগিত গাজীপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে মাটি কাটার দায়ে ১০ জনের কারাদণ্ড গণধোলাইয়ের শিকার ইমামের কারাগারে মৃত্যু পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বড় ভাইয়ের হুমকিতে এলাকাছাড়া ছোট ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত পূবাইলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শিশুকে বলাৎকার, ইমাম গ্রেফতার

গাসিক প্রশাসকের নির্দেশে ৫৭টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৯ বার পাঠ করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন(গাসিক) প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর নির্দেশে সিটির ৮টি জোনের ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান হয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনে মশার কামড়ে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। দিন নেই, রাত নেই, প্রতিমুহূর্তেই চলছে এদের অত্যাচার। বসতবাড়ির ভিতরে-বাইরে, খেলার মাঠসহ সর্বত্রই মশার উপদ্রব। মশার উৎপাত এতটাই বেশি যে জানালা-দরজা খুলে রাখার উপায় নেই।

ইদানীং এক জায়গায় বসলেই একসঙ্গে অগণিত মশা ঘিরে ধরে। মশার অত্যাচারে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালগুলোও। কয়েল, স্প্রে বা মশা মারার ব্যাট কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। মশার উপদ্রব যেভাবে বাড়ছে, তাতে রোগবালাই মহামারি আকার ধারণ করবে।
নগরের অধিকাংশ নালা ও ড্রেনের সংস্কারকাজ না হওয়ায় এখনো চলছে নাগরিক ভোগান্তি।

বলা যেতে পারে, সময়মতো রাস্তাঘাট ও খোলা জায়গা থেকে ময়লা তুলে না নেওয়ায় বাড়ছে মশার উৎপাত। অনেক জায়গায় খেয়াল করলে দেখা যায়, নগরীর অধিকাংশ সড়কের পাশের ড্রেন ও নালার ময়লাগুলো তুলে সড়কে রাখায় এবং স্তূপীকৃত ময়লা-আবর্জনা রাখার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে অবশেষে চোখে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই মশক নিধনে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন।
এদিকে ১৭ মার্চ সোমবার বিকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয়ে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

মতবিনিময় সভার মূল আলোচ্য বিষয়বস্তুর মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ফুটপাতে হকার মুক্তকরণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, রাস্তার বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপনসহ মশক নিধন কার্যক্রম ছিল গুরুত্বপূর্ণ অংশবিশেষ। এরই ধারাবাহিকতায় ৫৭টি ওয়ার্ডে এডিস মশার বিস্তার ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুনভাবে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।

ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হতে নাগরিকদের রক্ষাকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল বিনষ্টকরণ,পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে জিসিসি প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর নির্দেশে শুরু হয়েছে মশক নিধন অভিযান।

এ বিষয়ে গাসিকের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক জানান, ‘সকলের সমন্বয় ছাড়া মশক নিধন সম্ভব নয়। আমরা সকলের সহযোগিতা চাচ্ছি, সেজন্য এবছর আমরা বর্ষা মৌসুম শুরু আগেই মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে জিসিসি’র ৫৭টি ওয়ার্ডেই প্রতিদিন সকালে লার্ভি সাইডিং ও বিকালে এডাল্টি সাইডিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের মাঝে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সচেতনতা সৃষ্টি করতে কাজ করবো। এজন্য মসজিদের ইমামসহ ধর্মীয় উপাসনালয় থেকেও মানুষকে ডেঙ্গু সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মশা নিধনে বর্ষা মৌসুমের জন্য অপেক্ষা না করে বছরের শুরু থেকে পাড়া-মহল্লায় সচেতনতা তৈরির কাজ চলছে।

সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আমরা আমাদের আরও যেসব কার্যক্রম আছে সেগুলো পরিচালনা করবো। ঠিকমতো মশার ওষুধ ছেটানো হচ্ছে কিনা, সার্বিক কার্যক্রম কীভাবে চলছে তা তদাকরি করতে মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করবে।
তা ছাড়া এডিশ নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা তৈরি করা বা সোর্সকে রিডাকশন করা; এদু’টি কাজকে আমরা এখানে সমন্বয় করেছি।

সম্ভাব্য যেসকল জায়গা মশার লার্ভা থাকতে পারে সেসব কিছু আমরা সংগ্রহ করে ধ্বংস করবো তা ছাড়া হ্যান্ড স্প্রে মেশিন, জামার্নের তৈরি উন্নত প্রযুক্তির ফগার মেশিন, আমেরিকার তৈরি ফগার মেশিন, কোরিয়ানের উন্নত প্রযুক্তির ফগার মেশিন, ভেহিক্যাল মাউন্টেড ফগার মেশিনসহ কীটনাশক ও জনবলের কোনো সংকট নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি