পাটগ্রাম ( লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে অটোরিকশা চালক বাবাকে হত্যা চেষ্টার আসামীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ছোট্ট মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মনিকা আক্তার।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে এলাকাবাসীর সাথে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে নৃশংসভাবে বাবাকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে হত্যা চেষ্টার কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই অটোরিকশা চালকের ছোট মেয়ে মনিকা। এ সময় তাঁর বাবাকে মেরে ফেললে তিন ভাই-বোন ও পরিবারের করুণ সমস্যা হতো, কিভাবে বাঁচতো তাঁরা- এসব কথা বলে সে।
জানা গেছে, গত ২১ মার্চ রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাধানাথ গ্রামের সাপ্পার বাজার এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে আখেরুজ্জামান সোহাগ (৩০) একই গ্রামের অটোরিকশা চালক একরামুল হককে (৫০) ফাঁকা এলাকার পাশের ভুট্টা খেতের সড়কে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপ মারেন। এতে মুখে গভীর জখম হয় একরামুলের।
এসময় চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে যান একরামুল। স্থানীয়রা সোহাগকে আটক করে ওই ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ আইয়ুব আলী ও ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার থানা পুলিশের নিকট তাকে (সোহাগ) হস্তান্তর করেন।
একরামুল হকের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর স্বজনেরা। পরদিন ২২ মার্চ বিকেলে একরামুল হকের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
বুধবার (২৬ মার্চ) দরিদ্র অটোরিকশা চালক একরামুল হকের হত্যা চেষ্টাকারী সোহাগের ফাঁসির দাবি জানিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসি মানববন্ধন করেন। এতে এলাকার কয়েক “শ” বাসিন্দা ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, ‘তাদের বাড়ি কছাকাছি। শোনা গেছে উভয়ের মধ্যে সমস্যা ছিল আগে থেকেই। ঘটনারদিন একসাথে ঘুরেফিরে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় বিরোধ হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। সোহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো।
Leave a Reply