নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুদক মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এসএম গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে আধিপত্য বিস্তার,ভুয়া প্রকল্পের বিল-ভাউচার তৈরি, তহবিল আত্মসাৎ,ক্ষমতার অপব্যবহার স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বির্তকিত নানা সিদ্ধান্তের কারনে প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দৈনিক ভোরের আলো পত্রিকাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম গুলোতে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। তা ছাড়া ২০২০ সালেও সাবেক সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নামে ৪৬ লাখ টাকা এবং সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল বারীর নামে ৪৫ লাখ টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক টঙ্গী শাখা থেকে উঠিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে গোলামা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে। এসব অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। এরপর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শফিউল আজম নামমাত্র ১ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এতে প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা সোহেল রানা তদন্ত কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী তদন্ত কাজে সহযোগীতা করতে নথিপত্র চেয়ে দৈনিক ভোরের আলো পত্রিকার সম্পাদক বরাবর চিঠি ইস্যু করেন বর্জ্য কর্মকর্তা সোহেল রানা। এরপ্রেক্ষিতে তদন্ত কাজে সহযোগীতার জন্য নথিপত্র দেওয়া হয়। ওই সময় তদন্ত কমিটির কাজও চলেছে ঢিমেতালে। দীর্ঘ চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে লুকোচুরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তে কী উদঘাটন করা হয়েছে, তা আজও জানতে পারেননি পত্রিকার সাংবাদিক। ধারনা করা হচ্ছে দুর্নীতিবাজ গোলাম কিবরিয়ার সাথে আতাত করে তার পক্ষে গোপনে তদন্ত প্রতিবেদন দেন সোহেল রানা। অভিযোগ রয়েছে, তদন্তকারী ব্যক্তি সোহেল রানা প্রতিবেদন লুকিয়ে রেখে ছয়নয় করেন। যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য কর্মকর্তা সোহেল রানা, প্রতিবেদনের তথ্য বাইরে প্রকাশ করার সুযোগ নেই। অন্যদিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদা খাতুন তদন্ত রিপোর্টের ব্যাপারে তথ্য দিতে নারাজ। আর এ সুযোগে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন দুর্নীতিবাজ গোলাম কিবরিয়া।
Leave a Reply