1. admin@dainikvoreralobd.com : voreralobd :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাজীপুরে অধ্যাপক এম.এ মান্নান এর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়। গাজীপুরে বলাৎকারের অভিযোগ এনে সকালে ইমামকে গণপিটুনি, রাতেই কারাগারে মৃত্যু জাল সনদে চাকরি: কাপাসিয়ায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের এমপিও স্থগিত গাজীপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে মাটি কাটার দায়ে ১০ জনের কারাদণ্ড গণধোলাইয়ের শিকার ইমামের কারাগারে মৃত্যু পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বড় ভাইয়ের হুমকিতে এলাকাছাড়া ছোট ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে লোকটির ২০ লাখ হাতিয়ে নিয়েছিল ছেলেগুলো

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ১৫ বার পাঠ করা হয়েছে

 অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে এক গার্মেন্ট কর্মকর্তা ও তার গাড়িচালককে বাসা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ১৫ লাখ টাকার চেক আদায়ের ঘটনা ঘটেছে।

এর সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের একজনের বাসা থেকে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। 

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টায় আকবর শাহ থানাধীন সিডিএ আবাসিক এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। অপহরণের শিকার গার্মেন্ট কর্মকর্তার নাম আবেদিন আল মামুন। তিনি প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক। তার গাড়িচালকের নাম জুয়েল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি নামধারী গ্রেপ্তারকৃত চারজন হলেন- নাজমুল আবেদিন, নইমুল আমিন ইমন, আরাফাত হোসেন ফহিম ও রসতি বিন ইউসুফ। তাদের সবার বসবাস আকবর শাহ থানাধীন সিডিএ আবাসিক ও উত্তর কাট্টলী এলাকায়।

সিএমপির প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং অপহৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ধারী ৮-১০ যুবক আকবর শাহ থানাধীন সিডিএ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ফ্যাসিফিক জিন্সের কর্মকর্তা আবেদিন আল মামুনের বাসায় হানা দেয়। 

তারা জোরপূর্বক আবেদিন আল মামুন ও তার গাড়িচালক জুয়েলকে গাড়িতে তুলে রওয়ানা দেয়। মূলত এরপরই তারা পতেঙ্গা সাগরপাড় এলাকা ও পাহাড়তলী কর্নেলহাট জোন রোড এলাকাসহ পাহাড়তলী এবং আকবরশাহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করতে থাকে।

এ সময়ের মধ্যে ভিকটিমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলি বেগমের মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা স্বামীর মুক্তিপণ হিসাবে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। স্বামীকে ফিরে পেতে ফাতেমা আক্তার অপহরণকারী দলের সদস্যদের হাতে নগদ ৫ লাখ টাকা তুলে দেন। পাশাপাশি ১৫ লাখ টাকার চেক লিখে দেন।

অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের খবর পাওয়ার পর সিএমপির কমিশনার হাসিব আজিজ যেকোনো মূল্যে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশকে। সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পাহাড়তলী জোন পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ যৌথ অভিযান শুরু করে।

অভিযানের খবর পেয়ে অপহরণকারীরা আবেদিন আলী ও তার গাড়িচালককে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আবেদিন আল মামুন ও তার ড্রাইভার জুয়েলকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে চার অপহরণকারীকে নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে আসামি নইমুল আমিন ইমনের বাসা থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়। অপহরণের শিকার আবেদিন আল মামুনের বাসা সিডিএ আবাসিক এলাকার প্রভাতী স্কুলের বিপরীতে।

আকবরশাহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার চারজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অপহরণ করেছে। এই চারজন ছাড়াও অপহরণের সঙ্গে অপি, আলাউদ্দিন, আরাফাত আসিফসহ আরও বেশ কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি