নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে ভূমি অফিসের কর্মচারি পরিচয় বহন করে অবৈধভাবে গড়েছেন এই সম্পদ। অফিস সূত্রে জানা যায়, নুরুল ইসলাম পদবী নৈশ প্রহরী ভুমি অফিসে যোগদান করেন ২০১৫ সালে।
বর্তমানে সর্বসাকুল্যে বেতন পান ১২ হাজার টাকা। মাত্র এক যুগেরও কম সময় চাকুরী করেই গড়েছেন অঢেল সম্পদ। অনুসন্ধানে জানা যায়, সহকারী কমিশনার ভূমির নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের তথ্য ও গতিবিধি মাটিখেকুদের সরবরাহ করার চুক্তি করতেন লাখ লাখ টাকা। প্রতিমাসে তিনি আদায় করেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
এভাবেই অবৈধ অর্থে দেশের বাড়ি শেরপুরের বিভিন্ন জায়গাসহ শ্রীপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকায় মহাসড়ক ঘেষা চার গন্ডা জমি ক্রয় করে তার উপর চারতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে একতলা বাড়ির কাজ সম্পন্ন করেন। তবে মহাসড়ক ঘেষা চার গন্ডায় চারতলা বাড়ি নির্মিত জমিটি সরকারের ‘ক’ তফসিলের অর্ন্তভুক্ত ছিল। আওয়ামীলীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে সাবেক এসিল্যান্ডের সাথে যোগসাজস করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ওই চার কাঠা জমি নিজের স্ত্রী সন্তানের নামে করে দেন।
সরেজমিনে জানা যায়, নুরুল ইসলাম ১০ বছর আগে উপজেলা ভুমি অফিসে পদবী নৈশ প্রহরী হিসেবে যোগদান করেই তার ভাগ্য খুলে যায়। রাতারাতি সে অফিসের গোপন কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। রাতের অফিসে গোপন কাজগুলো তার হুকুমেই চলে। যতো অনৈতিক অবৈধ কাজ হয় সবটার ভাগ যায় তার হাতে।
উল্লেখ্য দলিল সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার মহামূল্যবান সম্পদ লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে উক্ত সম্পদ বউ ও কন্যাদের নামে ক্রয় ও খারিজ করেন ভূমি অফিসের চতুর এই কর্মচারী। এর থেকেও ভয়াবহ তথ্য হলো ১১৬৮৬ নং জোত জমির উপর নির্মিত নুরু মিয়ার বাড়িটি পৌরসভা থেকে বিল্ডিং করা অনুমতি নেওয়া হয়নি।
যা স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ লঙ্ঘন। এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা একটি মিথ্যা কথা রটিয়েছিল। বিষয়টি সত্য নয়। বাড়ি নির্মাণে পৌরসভার অনুমতি না নেওয়ার বিষয়ে বলেন,অনুমতি নেইনি তবে নিবো।
Leave a Reply