1. admin@dainikvoreralobd.com : voreralobd :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাজীপুরে বলাৎকারের অভিযোগ এনে সকালে ইমামকে গণপিটুনি, রাতেই কারাগারে মৃত্যু জাল সনদে চাকরি: কাপাসিয়ায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের এমপিও স্থগিত গাজীপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে মাটি কাটার দায়ে ১০ জনের কারাদণ্ড গণধোলাইয়ের শিকার ইমামের কারাগারে মৃত্যু পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বড় ভাইয়ের হুমকিতে এলাকাছাড়া ছোট ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত পূবাইলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শিশুকে বলাৎকার, ইমাম গ্রেফতার

লালমনিরহাটে তেজপাতা চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৫ বার পাঠ করা হয়েছে

মামুন হোসেন সরকার
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকেরা ধান, গম, ভুট্টার পাশাপাশি মসলা ও ঔষধি জাতীয় ফসল তেজপাতা চাষ করছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তেজপাতা চাষে তিনগুণ লাভ করছে চাষিরা। এটি একবার রোপন করলে অন্য ফসলের মতো তেমন আর খরচ করতে হয় না। মাঠ থেকে পাতা কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। তেজপাতা ব্যবসায়ী বিপ্লব কুমার চৌধুরি অপ (৪৫) ও আব্দুল জলিল ( ৬৭) জানান, বর্তমানে তেজপাতার চাহিদা ভালো। কম টাকায় বেশি লাভ করা সম্ভব এ ব্যবসায় । তেজপাতা বিভিন্ন প্রকার রান্নার কাজে ও ঔষধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বিদেশে রপ্তানি হয়।,তেজপাতা চাষে সফল পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের কৃষক তবিবর রহমান ।
এরই মধ্যে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের কৃষক মো. তবিবর রহমান করেছেন ব্যতিক্রম ফসলের চাষাবাদ। তিনি ৩ একর জমিতে তেজপাতার বাগান করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। সাথী ফসল হিসেবে লাগিয়েছেন চা গাছ।
এ বিষয়ে বাউরা ইউনিয়নের তেজপাতা চাষী তবিবর রহমান (৬৫) বলেন, তিন একর জমিতে তেজপাতা লাগিয়েছি। তেজপাতা চাষে একবার খরচ করলে তারপর থেকে টাকা আসা শুরু হয়। এখন আর তেমন খরচ নেই। দিন যতই যায় আয় ততোই বৃদ্ধি পায়।,
একই গ্রামের কৃষক আওলাদ হোসেন (৩৫) ও চাঁন মিয়া (৬৫) জানান, তেজপাতা আবাদে অন্যান্য ফসলের তুলনায় তিনগুণ লাভ হয়। ভালো পরিচর্যা করলে ছয় থেকে সাত মাস পর এক বিঘা জমির পাতা বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করা যায়।,
বাউরা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাজু হোসেন বলেন, তেজপাতা একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় আমরা কৃষকদের চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতেছি ও বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ দিচ্ছি।,
পাটগ্রাম উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ও বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক কৃষিবিদ হারুন মিয়া বলেন, তেজপাতা চাষের সাফল্য উপজেলার কৃষকদের মধ্যে এনে দিয়েছে নতুন প্রেরণা। সকল ধরনের ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে পাটগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের তেজপাতা এলাকার মসলার চাহিদা পূরণের পাশপাশি জেলার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।,
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার জানান, তেজপাতা একটি ওষুধি গুণসম্পন্ন মসলা জাতীয় ফসল। তেজপাতা চাষে তেমন কোন খরচ না থাকায় এক বিঘা জমিতে বছরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন তেজপাতা আবাদের দিকে ঝুঁকছে। পাটগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের তেজপাতা সহ বিভিন্ন প্রকার মসলা জাতীয় ফসল আবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। মাঠ পর্যাযয়ে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে।,

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি