স্টাফ রিপোর্টার:
আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ছিল নিয়মিত ওঠাবসা। নিজের এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়াতেন আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী পরিচয়ে। তবে এখন আওয়ামীলীগের খোলস পাল্টে নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয়ে জাহির করার চেষ্ট করছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টে তিনি হয়ে গেছেন বিএনপি নেতা।

বলছি গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কালনী এলাকার বাসিন্দা হাজী হারুনুর রশীদ মোল্লার কথা। বিগত ১৭ বছর কাধে কাধ রেখে সখ্যতা গড়েছেন ৩ নং ওয়ার্ড তথা বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে। প্রতি বছরে আওয়ামীলীগের মিটিং মিছিল, সভা-সেমিনার,শোক দিবসও পালন করতেন হারুনুর রশীদ।

আওয়ামীলীগের গুণকিত্তন গেয়ে বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দিয়েছেন একের পর এক হয়রানী মূলক মামলা। কিন্তু ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এবার বিএনপির ব্যানারে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ খুঁজছে হারুনুর রশীদ।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, বিগত দিনে স্বৈরাশাসকের আমলে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে মিশে সব সময়ই রয়েছেন অধরা। বিএনপির কোন আন্দোলন সংগ্রামে তাকে মাঠে পাওয়া না গেলেও আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিনি হয়ে উঠতে চান বিএনপি নেতা।

বর্তমানে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবী করলেও আওয়ামীলীগের শাসনামলে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে মিলে মিশে জাহির করতেন আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া, সালিশি বাণিজ্যসহ অসংখ্য অপরাধের নেতৃত্ব দেয় হারুনুর রশিদ মোল্লা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আওয়ামীলীগের কোন মিটিং মিছিলে কখনোই যায়নি। জমি সংক্রান্ত জেরে এলাকার একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ছবি এডিট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামী লীগের আমলে অনেক হয়রানীর শিকার হয়েছি।

স্থানীয়রা আরও জানান, বর্তমানে এই নেতার বেপরোয়া কর্মকান্ডের কারণে অল্প কয়েকদিনে বাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও জনপ্রিয়তা বেশ তলানিতে ঠেকতে শুরু করেছে। এতে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে বিএনপির নিবেদিত কর্মীরা।

তারা বিএনপির নেতৃস্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানান। এভাবে চলতে থাকলে বিএনপির জন্য তা ক্ষতিকর হয়ে যাবে। তিনি একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।