1. admin@dainikvoreralobd.com : voreralobd :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাজীপুরে বলাৎকারের অভিযোগ এনে সকালে ইমামকে গণপিটুনি, রাতেই কারাগারে মৃত্যু জাল সনদে চাকরি: কাপাসিয়ায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের এমপিও স্থগিত গাজীপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে মাটি কাটার দায়ে ১০ জনের কারাদণ্ড গণধোলাইয়ের শিকার ইমামের কারাগারে মৃত্যু পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বড় ভাইয়ের হুমকিতে এলাকাছাড়া ছোট ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত পূবাইলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শিশুকে বলাৎকার, ইমাম গ্রেফতার

বুড়িমারী স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধায় মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভারতীয়রা এক বাংলাদেশী পাসপোর্টযাত্রীকে হেনস্থা করে ফেরত পাঠালো

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
  • ২৬ বার পাঠ করা হয়েছে

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধায় আজাদুর রহমান আজাদ নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে চ্যাংড়াবান্ধায় জনৈক কাস্টম কর্মকর্তার ইন্ধনে গাড়ির কয়েকজন চালক ও মানি এক্সচেঞ্চ (মূদ্রা বিনিময়) কর্মচারীর যোগসাজসে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটে। হেনস্থার শিকার আজাদুর রহমান এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুড়িমারীতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জানা গেছে, ঢাকার পল্লবী এলাকার বাসিন্দা আজাদুর রহমান আজাদের ছেলে ভারতের দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াং এলাকার একটি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। তিনি ছেলেকে আনতে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এ সময় কোনো দালাল না ধরে সরাসরি ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে জনৈক কাস্টম কর্মকর্তার নিকট যায়। কাস্টম কর্মকর্তা মানি এক্সচেঞ্চের (মূদ্রা বিনিময়) একটি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে টাকা বিনিময় করার কথা বলেন। আজাদ এ সময় নিজের ইচ্ছেমত প্রতিষ্ঠানে ইউএস ডলার মূদ্রা বিনিময় করবেন বলেন কাস্টম কর্মকর্তাকে। এ কথা বলায় ওই কর্মকর্তা কয়েকজন চালক ও মানি এক্সচেঞ্চ (মূদ্রা বিনিময়) কর্মচারীকে আজাদের পিছনে লেলিয়ে দেন। আজাদ অন্য প্রতিষ্ঠানে মূদ্রা বিনিময় করে গাড়িতে উঠতে গেলে কতিপয় চালক ও মানি এক্সচেঞ্চ (মূদ্রা বিনিময়) কর্মচারী গাড়িতে উঠতে বাঁধা দেন। এ সময় আজাদের সাথে থাকা ট্রাভেল ব্যাগ মাঠিতে ছুড়ে ফেলে দেন ও তাঁকে (আজাদকে) হেঁটে যেতে বলেন। তিনি সড়কে চলাচলরত অটো গাড়িতে ও মাথাভাঙ্গা যাওয়ার বাসে উঠতে চাইলেও উঠতে দেয়নি তারা (কতিপয় কিছু চালক ও মানি এক্সচেঞ্চ কর্মচারী)।
এক পর্যায়ে আজাদ প্রায় তিনকিলোমিটার সড়ক হেঁটে চ্যাংড়াবান্ধা সড়কের ট্রাফিক পুলিশের স্মরণাপন্ন হন। এ সময় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি ও চ্যাংড়াবান্ধা পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ডেকে আনেন ভারতীয় লোকজনেরা (কতিপয় চালক ও মানি এক্সচেঞ্চ কর্মচারী)। এই সময় ওই কর্মচারীরা তাঁকে (আজাদ) ঘিরে ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। এ সময় তাঁরা (কর্মচারীরা) আজাদ ভারতকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেছেন বলে উচ্চ বাচ্য করতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আজাদকে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ থানায় নিয়ে যান। মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ পরিস্থিতি অনুযায়ী ইমিগ্রেশন পুলিশকে একটি লিখিত (ফরওয়ার্ডিং) দিয়ে পুলিশের গাড়িতে চ্যাংড়াবান্ধায় পাঠায়।
চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে ভারতের ভিতরে না গিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যেতে পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ ভিসা ক্যানসেল/বাতিল করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সময় ওই কর্মচারী ও চালকেরা সরি বা ক্ষমা না চাইলে বাংলাদেশে ফিরে যেতে দিবেন না বলে পুলিশ ও বিএসএফকে জানায়। এ সময় জামাতি ও বাংলাদেশি আতঙ্কবাদী, ধর ধর এবং লাথি মার বলে চিৎকার করতে থাকে ওই কর্মচারী ও চালকেরা। বিকেলে আজাদকে ফেরত পাঠায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের নিকট ঘটনা তুলে ধরেন আজাদ। এ সময় তিনি দাবি করেন, চ্যাংড়াবান্ধায় কোনো দালালের মাধ্যমে কাজ না করায় ও ওইখানকার কাস্টমের লোকের পছন্দমত মানি এক্সচেঞ্চ দোকানে টাকা বিনিময় না করায় কিছু গাড়ি চালক মানি এক্সচেঞ্চ দোকোনের কর্মচারীদের দিয়ে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে আমাকে হয়রানি ও অপমান, অপদস্থ করা হয়েছে। ঈদে আমার ছেলেকে আনতে পারিনি। আমি ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশন ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ ঘটনার তদন্ত করে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম (এসআই) বলেন, ‘শুনেছি ওই ব্যক্তি ভারতে গিয়ে শেয়ারিং গাড়িতে উঠা নিয়ে চালকের সাথে বির্তক হয়। ইন্ডিয়া নিয়ে নাকি আপত্তিকর কথা বলায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়। পরে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি