নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রভাব খাটিয়ে ভোগ দখলীয় সম্পত্তি দখল করে দোতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে গাজীপুর মহানগরের ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা কাবিল উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, হাতিয়াব এলাকার মোঃ আমিন উদ্দিনের ছেলে রাহাদ হাসানের সঙ্গে পাশ^বর্তী মৃত আঃ সোবাহানের ৪ ছেলে মোঃ লেহাজ উদ্দিন, মোঃ নাজিম উদ্দিন ও মোঃ কাবিল উদ্দিন এবং মৃত ইমান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও নাসির উদ্দিন, ইব্রাহীমের ছেলে মোসলেম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিনের ছেলে সেলিম, লেহাজ উদ্দিনের ছেলে আবু বকর, লেহাজ উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়াদের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এ নিয়ে সালিশি বৈঠকে রাহাদের পক্ষে প্রতিবেদন থাকলেও কাবিলগং তা মানতে নারাজ।
আপস মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে তফসিল ভুক্ত সম্পত্তির মালিক আমিন উদ্দিন, জহুরা, রোজিনা, রুনার পক্ষে রাহাদ হাসান বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, গাজীপুরে ৯ জনকে বিবাদী করে সিআর মোকদ্দমা দায়ের করেন। সিআর মোকদ্দমা নং-১৪৭৬/২০২৪। উল্লেখিত মামলায় বলা হয়েছে, ২ একর ২৪.৫০ ,শতাংশ সম্পত্তিতে বাদী পক্ষ ফল ফলাদিসহ বিভিন্ন গাছপালা রোপন করে ভোগদখলীয় মত্ত আছে। এমতাবস্থায় গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাদী পক্ষ তফসিল ভুক্ত জমিতে মাপঝোপ করতে গেলে বিবাদীগন দলবল নিয়ে বাধা সৃষ্টি করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। জমিতে থাকা বিভিন্ন গাছপালা বিনষ্ট করেন। ওই সময় বিবাদীরা ৩৮৮ নং হেবানামা দলিল মূলে নিজেদের মালিক দাবী করেন। কিন্ত ৩৮৮ নং হেবানামা দলিলে ১৫/৬৯-৭০ নং মিসকেস মোকদ্দমায় আদালতে হেরে যান।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় রাহাদ হাসান মৃত আঃ সোবাহানের ৪ ছেলে মোঃ লেহাজ উদ্দিন, মোঃ নাজিম উদ্দিন ও মোঃ কাবিল উদ্দিন এবং মৃত ইমান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে অভিযুক্ত করে গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার পুলিশসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ পুলিশ ও সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসেন। এসময় উভয়দের মাঝে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি(জিএনসি) গাজীপুর সদর মেট্রো থানার সদস্য রাহাদ হাসান বলেন, ‘ওই জমির দলিল এসএ, আরএস রেকর্ড এবং জমির ভূমি উন্নয়ন করও ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমাদের নামে পরিশোধ করা আছে। কিন্তু তারা সেই জমি জোরপূর্বক দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করেছে কাবিলগং। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আদালতে মামলা করার পর কাবিলগং আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আমাদের একের পর এক হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। উক্ত মামলায় প্রতিবারই তারা হেরে যায়। তারপর কাবিলগং ক্ষান্ত হচ্ছে না।
সু-বিচার পাওয়াও আশায় জাতীয় নাগরিক কমিটির( জিএনসি) সদর মেট্রো থানার সদস্য রাহাদ হাসান বলেন, আমি এবং আমার পরিবার কাবিলগংদের হাতে থেকে রক্ষার্থে গাজীপুর বিজ্ঞ জেলা জজ,গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সকল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদর মেট্রো থানার সদস্য রাহাদ হাসানসহ তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনায় বসবাস করছেন। ধারণা করা হচ্ছে কাবিলগং যে কোন সময় রাহাদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাবিল উদ্দিনগং এলাকায় মামলাবাজ হিসেবে খ্যাত। তাদের বিরুদ্ধে গেলে মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা হয়। তাদের অপকর্মে আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে বাধা দিলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ছাড়াও তারা অন্যের জমি জবর দখলসহ সরকারি খাস জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে।
Leave a Reply