নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহানগরীর কাশিমপুর থানা এলাকায় নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনায় টাঙ্গাইল থেকে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কাশিমপুর থানা পুলিশ টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী ও সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহজাহান খান (৫৫) ও সানোয়ার হোসেন ওরফে রাজু (৪২) নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তবে এই হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী হান্নান মোল্লা এখনো পলাতক রয়েছে। নিহত শিপন মিয়া (৪০) নেত্রকোনা জেলার সদর থানার হাসেন আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুই বছর আগে শাহ জাহান খান তার ভায়রার ছেলে রফিকের জন্য পুলিশের চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে শিপন মিয়ার মাধ্যমে দুই লাখ টাকা দেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত না পেয়ে বারবার তাগিদ দেন শাহ জাহান খান। শিপন জানায়, টাকা হান্নান মোল্লার কাছে আছে। টাকা ফেরত না পেয়ে মানসিক চাপের মুখে পড়েন শাহ জাহান। একপর্যায়ে হান্নান মোল্লা তাকে প্রতিশোধ নিতে প্ররোচিত করে এবং শিপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাশিমপুর এলাকায় একটি দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেয়া হয়। গত ৮ মার্চ বিকেলে শিপনকে ওই বাড়িতে ডেকে আনা হয়। সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকার কারণে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর আগে থেকে প্রস্তুত করা লাল রঙের রশি দিয়ে শিপনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। শাহজাহান, সানোয়ার ও হান্নান মোল্লা মিলে ৮-১০ মিনিট ধরে শিপনের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মৃতদেহ ঘরে রেখে শিপনের মোবাইল ফোন নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরদিন শাহ জাহান নতুন ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিককে ফোন করে জানান, ঘরে একটি লাশ রয়েছে এবং তা সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন। এরপর তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শাহ জাহান ও সানোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিপন মিয়া ক্লুলেস হত্যা মামলায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply