নিজস্ব প্রতিবেদক
আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’ বলা সেই ফরিদগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা শাওন কাবীকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সংগঠনবিরোধী কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এবার দল থেকে বহিষ্কার হলেন তিনি। আজ বুধবার ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে মারধর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় আটক হন তিনি। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সংগঠনবিরোধী কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ফরিদগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা শাওন কাবীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার সঙ্গে কেউ যেন সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখেন, তার জন্যও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, সড়কে একটি কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারকে ওভারটেক করে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন শাওন কাবী। এ সময় তার মোটরসাইকেলে আরও দুজন ছিলেন। একপর্যায়ে শাওন কাবী সড়কে নিজেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। এতে প্রাইভেটকার ও কাভার্ডভ্যান চালককে দায়ী করেন। পরে প্রাইভেটকার চালক এবং আরোহী কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে মারধর করেন শাওন কাবী ও তার সঙ্গীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মধ্য রাতে উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতা শাওন কাবীকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দিয়ে পুলিশের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় আটক করতে যাওয়া পুলিশের উপপরিদর্শককে ওই ছাত্রদল নেতা শাওন কাবী বলেন, ‘আমাকে থানায় নিতে হলে, ওসিকে আসতে বলেন। না হলে, আমি যাবো না।’ এ সময় কয়েক মিনিট তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা চলে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, সড়কে যানবাহনের গতিরোধ করে একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও তার গাড়িচালককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদল নেতাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। একই সঙ্গে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এরইমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চাঁদপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।