নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশেই সরকারি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদে ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট কর্তৃক অনুমোদিত “বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের” নেতারা। গাজীপুরেও “বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের” একজন সদস্যের খোঁজ মিলেছে গাজীপুর এলজিইডিতে। তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের চলমান সদস্য। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান সাক্ষরিত অনুমোদন পত্র এ প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।
বলছি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর গাজীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর কথা। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই গাজীপুর এলজিইডিতে যোগদান করেন। এর আগে রংপুর এলজিইডিতে ১ বছর ৮ মাস কাজ করেছেন। আলোচিত এই নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায়। বঙ্গবন্ধু পরিষদের একজন নেতা হিসেবে সব সময়ই রাজবাড়ী জেলায় ছিল তার দাপট। যদিও নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী এসব ভুয়া ও ফেক বলে উড়িয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, আমি কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুথানে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমনের জন্য পতিত স্বৈরাশাসকের সাথে দফায় দফায় মিটিং করার গুঞ্জনও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ছাত্র জনতার প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও গাজীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে গাজীপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী শুধু বহাল তবিয়তেই নয়। বরং অভিযোগ উঠেছে তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দোসরদের। এলজিইডিতে চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই অনৈতিক পথে অর্থ উপার্জনসহ নানাবিধ অবৈধ অপকর্ম ও ক্ষমতাসীনদের দ্বারস্থ হয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধের জন্য সচেষ্ট থেকেছেন। অথচ ক্ষমতার পালাবদলে তিনিও এখন ভোল পাল্টে ফেলেছেন।
তিনি স্বযাচিত হয়ে পতিত আওয়ামীলীগের পক্ষে চাটুকারিতা ও কারনে-অকারনে শেখ মুজিবের বিভিন্ন প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেই সিরিয়ালের দোহাই দিয়ে আওয়ামীলীগের গুণকিত্তন গেয়েই তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্যের হিসেবে স্থান পেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আমাদের আরও অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত পড়–ন আগামী সংখ্যায়।
Leave a Reply