1. admin@dainikvoreralobd.com : voreralobd :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাজীপুরে বলাৎকারের অভিযোগ এনে সকালে ইমামকে গণপিটুনি, রাতেই কারাগারে মৃত্যু জাল সনদে চাকরি: কাপাসিয়ায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের এমপিও স্থগিত গাজীপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে মাটি কাটার দায়ে ১০ জনের কারাদণ্ড গণধোলাইয়ের শিকার ইমামের কারাগারে মৃত্যু পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বড় ভাইয়ের হুমকিতে এলাকাছাড়া ছোট ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত পূবাইলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শিশুকে বলাৎকার, ইমাম গ্রেফতার

জাল দলিল চক্রের ছত্রছায়ায় সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান: মোটা অঙ্কের ঘুষে চিরিরবন্দরে বদলি!

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৯ বার পাঠ করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনাজপুরের খানসামা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিলের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎ ও সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করার এক ভয়াবহ চক্র সক্রিয় রয়েছে।

এই চক্রের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান, যিনি সম্প্রতি মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে চিরিরবন্দর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বদলি হয়েছেন—এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান দীর্ঘদিন ধরে একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিলে চলেছেন। বিশেষ করে দলিল লেখক মোঃ মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সমন্বয়ে একের পর এক জাল দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম, অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে, প্রকৃত মালিকের অজান্তে জমির মালিকানা অন্যের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ২০২৫ (দলিল নং: ৪৪) তারিখে ৪ শতক জমি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করা হয় জনৈকা মোছাঃ অবেদা বেগমের নামে। দলিল দাতা হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে তার পরিচয়ই মেলেনি—আইডি নম্বরটি এক নারীর, যার নাম ছালেহা বিবি। অথচ, ব্যবহার করা হয়েছে “তরনী ব্যাধ” নামে এক অজ্ঞাত চরিত্রের পরিচয়।

অভিযোগপত্রের কপি প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে—সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান এইসব জাল দলিল যাচাই না করেই অনুমোদন করেছেন, এমনকি নথিপত্রের সঙ্গতিহীনতাও উপেক্ষা করেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে। ভুক্তভোগীদের দাবি, এইসব জালিয়াতি থেকে সাব-রেজিস্ট্রার মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করেছেন, যা পরবর্তীতে নিজের পছন্দের পোস্টিং নিশ্চিত করতে ব্যবহার করেছেন।ৎ

এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত মেহেদী হাসান বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি। তবে স্থানীয়দের জোর দাবি—এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান ও সংশ্লিষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি