নিজস্ব প্রতিবেদক:
সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল রনি শিকদার (২৬)। একই দিনে মঙ্গলবার রাত ৮টায় পৃথিবীতে জম্ম নিয়েই পিতৃ হারা হলেন নিহত রনির নবজাতক শিশু সন্তান। জন্মের ১ঘন্টার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় রনিকে। এমন জম্মান্তরের হৃদয় বিদারক ক্ষণে পুলিশ সহকর্মী রনির নবজাতক শিশু ও পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড.নাজমুল করিম খান। পুলিশ সহকর্মীর জন্য মানবতার অনন্য উদারণ তৈরি করলেন তিনি।
বুধবার (২ এপ্রিল) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) পক্ষ থেকে শিশুটির জন্য উপহার ও হাসপাতালের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়বহন ও পারিবারিক খরচ বহন করা হয়। পুলিশ কমিশনার ড.নাজমুল করিম খানের পক্ষে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত রনির স্ত্রী সুমির হাতে উপহার তুলে দেন স্টাফ অফিসার এসি তানভীর আহম্মেদ।
এ সময় শত দুঃখের মাঝেও পুলিশ কমিশনারের এমনভাবে পাশে দাঁড়ানোয় জিএমপির নিহত কন্সটেবল রনির নবজাতক শিশু ও তার পরিবার সান্ত¡না খুঁজে পান। রনির পরিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের এমন মানবিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জীবনের এমন দুঃখের ক্ষণে পুলিশ সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোতে পুলিশের অনন্য সদস্যদের মাঝেও ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রপাচারের খবর পেয়ে ছুটি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন পুলিশ সদস্য রনি। মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় পৌঁছালে একটি অটোরিকশা উল্টো পথে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে কনস্টেবল রনি সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনার পরপরই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।
পুলিশ সদস্য রনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর জোনের সহকারী উপ কমিশনার দ্বীনে এ আলমের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন। এদিকে নিহত রনির অকাল মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গেছে তার স্ত্রীসহ গোটা পরিবার। শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শাজাহানগঞ্জ ছোনাটি এলাকায়। ২০১৮ সালে পুলিশে নিয়োগ পান রনি। তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
Leave a Reply